NOAKHALI KARAMATIA KAMIL MADRASAH
SADAR,NOAKHALI. EIIN : 107618
সাম্প্রতিক খবর
নোটিশ আগামী শনিবার ১৬/৯/২০২৩ তারিখ থেকে অনার্স ১ম বর্ষ মিড টার্ম পরীক্ষা ও ফাজিল ১ম বর্ষের নির্বাচনী পরীক্ষা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে। আদেশক্রমে- অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ ***

 

নোয়াখালী কারামাতিয়া কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্ম সাধক হযরত মাওলানা কারামাত আলি জৌনপুরী রহ. ভারতের কলকাতা আলিয়া মাদরাসার সিলেবাস অনুযায়ী তৎকালিন বঙ্গ প্রদেশের সরকারের অনুমতি গ্রহণ করে ১৮৫০ সালের ১লা জানুয়ারি নোয়াখালী কারামাতিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে নোয়াখালীর পুরান শহরে জেলার প্রধান সড়কের পাশেই মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও সু-নাগরিক গড়ে তোলা। প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা কারামাত আলি জৌনপুরী রহ. নিজেই ০১.০১.১৮৫০ খ্রি. থেকে ৩১.১২.১৮৭০ খ্রি. পর্যন্ত অবৈতনিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পর তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে রংপুর হিজরত করেন। ০১.০১.১৮৭১ খ্রি. থেকে তদীয় পুত্র হযরত মাওলানা হামেদ সিদ্দিকি জৌনপুরী র. তাঁর মহিমময় পিতার সিদ্ধান্তেই অবৈতনিক প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে ৩১.১২.১৮৯৯ খ্রি. পর্যন্ত মাদরাসাখানি পরিচালনা করেন।
০১.০১.১৯০০ খ্রি. ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক আল্লামা মুহাম্মদ মূসা সন্দ্বিপী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতি দেশের বাহিরেও ছড়িয়ে পড়ে। বহু বিদেশী ছাত্র এ মাদরাসায় অধ্যয়ন করে। ১৯১৮ খ্রি. তাঁর কারাবরণের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার মাদরাসাটি বন্ধ করে তার সমুদয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। ১৯২৫ খ্রি. তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৩.১১.১৯২৫ খ্রি. মাদরাসাটি পুনরায় চালু করে ফাযিল মানে উন্নীত করান। ০১.০৬.১৯৫৫ খ্রি.তৎকালিন পাকিস্তান সরকার এ মাদারাসাকে কামিল হাদিস বিভাগে উন্নীত করে। ২০.০৩.১৯২৬ খ্রি. আল্লামা মুহাম্মদ মূসা সন্দ্বিপী এ মাদরাসা হতে অব্যহতি নিলে মাওলানা মানসুর লক্ষ্মীপুরী এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ৩১.৩.১৯২৮ পর্যন্ত জিম্মাদারী আঞ্জাম দেন।
০১.০৪.১৯২৮ খ্রি. থেকে ৩০.০৬.১৯৮১ খ্রি. প্রখ্যাত আধ্যাত্ম সাধক আল্লামা আলহাজ্জ মুহাম্মদ আজীজুল্লাহ রহ. অধ্যক্ষ ও সেক্রেটারির পদে অধিষ্ঠিত থেকে মাদরাসার ইাতহাসের যুগান্তকারী কর্মকান্ড আঞ্জাম দিয়ে চিরস্মরণীয় রয়েছেন। ১.৭.১৯৮১ থেকে ৩১.৩.১৯৯১ খ্রি. পর্যন্ত আল্লামা মো. আব্দুল মালেক রা. মধ্যবর্তী সময়ে জনাব আব্দুল মালেক, একেএম ফখরুল ইসলাম ও মরহুম মাওলানা আব্দুর রউফ রা. অধ্যক্ষপদে দায়িত্বপালন করেন।
০১.১০.২০০২ হতে ড. মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ ১৭০ বছরের পুরানো এ মাদরাসাটির নবম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফাযিল অনার্স ও কামিল স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ২৮ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন। এতে ৮জন কর্মচারী রয়েছে। এর রয়েছে ৩টি ভবন (১টি ৪তলা ভবন, ১টি দ্বিতল ভবন, ১টি এক তলা ভবন), ২০টি শ্রেণি কক্ষ, ১টি কনফারেন্স কক্ষ, ১টি শিক্ষক মিলনায়তন, ১টি অধ্যক্ষ কার্যালয়, ১টি অধ্যক্ষ কোয়ার্টার, ১টি হিসাব রক্ষণ কক্ষ, ২টি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, একটি স্টোর রুম, ১টি ছাত্রী কমন রুম ও ১০টি কম্পিউটার সমৃদ্ধ ও ইন্টারনেট যুক্ত একটি কম্পিউটার ল্যাব। এতে রয়েছে একটি স্বতন্ত্র মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ।
এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুবিস্তৃত মাঠ ও দোতলা বিশিষ্ট বিশাল মসজিদ। প্রায় প্রতিটি স্তরেই মেধা বৃত্তি লাভ হচ্ছে। পাবলিক পরীক্ষায় পাশের হার প্রায় শতভাগ। মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নোয়াখালীর শ্রেষ্ঠবিদ্যাপিঠ হিসেবে ২০১৬ সালে সরকারী সনদ অর্জন করে  ও শিক্ষার গুণগতমান, সন্তোষজনক ফলাফল ও মনোরম পরিবেশসহ সার্বিক বিবেচনায় নোয়াখালী সদরের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত কয়েক বছর যাবত সরকার থেকে পুরুস্কার অর্জন করে আসছে। এর শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। এর শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত থেকে জাতির মহান খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন। মাদরাসাটি বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এতে ফাযিল অনার্স কোর্স  ও দাখিলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে। মাদরাসায় সহপাঠ্যক্রম কর্মসূচি চালু রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিতে সুদক্ষ হওয়ার জন্য রয়েছে কম্পিউটার শিক্ষার সুবর্ণ সুযোগ ও শিক্ষাকে আরো আনন্দদায়ক ও জীবন্ত করার জন্য রয়েছে শ্রেণি কক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।

নতুন কারিকুলাম ২০২২ এর আলোকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে পাঠদান করা হচ্ছে।